ঢাকা, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
মেনু |||

সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  এছাড়া মামলার অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণা করার কথা ছিল।

কিন্তু মামলার রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. সামছুদ্দিন জানান, গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে ১৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল।

কিন্তু রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। একই দিন (১৬ জানুয়ারি) রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জের ধরে তাকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়।

ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের নামে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলী ছালেহ আহমদ সোহেল খান জানান, আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে। মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মো. মিন্টু হেলাল (২৮) নামে এক আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক। কারাগারে থাকা ১৫ আসামির মধ্যে আটজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার মামলাটির রায় হলো।


ঢাকাওয়াচ/টিআর

সম্পাদকঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬